কবি সাহিত্যিকদের উপন্যাস,কবিতা,গ্রন্থগুলো মনে রাখার শর্টকাট টেকনিক


কবি সাহিত্যিকদের উপন্যাস,কবিতা,গ্রন্থগুলো মনে রাখার শর্টকাট টেকনিক

** কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬)

* কাজী নজরুল ইসলাম প্রথম ঢাকা আসেন ১৯২৬ সালে। তিনি মোট ১৩ বার ঢাকা আসেন।

==> উপন্যাসঃ কুহেলিকা মৃত্যুক্ষুধায় বাধনহারা হয়ে গেলো।

==> গল্পগ্রন্থঃ শিউলিমালা রিক্তের বেদন দেখে ব্যাথার দান গল্পটি রচনা করলো।

==> নাটকঃ আলেয়ামধুমালা পুতুলের বিয়েতে ঝিলিমিলি রঙের শাড়ি পরেছে।

==> কাব্যগ্রন্থঃ কোনো এক সন্ধ্যানতুন চাঁদ দেখার সময় ছায়ানটে লাগা প্রলয়শিখার অগ্নিবীণা দেখে সাত ভাই চম্পা, দোলনচাঁপাফণিমনসারা চক্রবাক হয়ে সর্বাহারার মতো ঝড়ো হাওয়ার গতিতে জিঞ্জিরার দিকে ছুটতে লাগলো। সাম্যবাদী মরুভাস্করেরা শেষ সওগাত, ঝিংগেফুলবিষের বাশি হাতে নিয়ে সিন্দুহিন্দোলের দিকে এগিয়ে চললেন।

** রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)

==> উপন্যাসঃ ঘরে বাইরে  বউ ঠাকুরাণীর হাটেশেষের কবিতা শুনাতে গিয়ে গুরা রাজর্ষির চোখের বালির, করুনাচতুরঙ্গ দুই বোন যোগাযোগের চার অধ্যায়ের মধ্যে মারা গেলো।

==> চিত্রনাট্যঃ শ্যামামালিনী চিত্রাঙ্গদাকে দেবী চন্ডালিকার নামে বিসর্জন দিয়েছে।

==> কাব্যগ্রন্থঃ শ্যামলী, চৈতালী, গীতালী তারা তিন বোন মহুয়ার ছেলে নবজাতকের জন্মদিনে প্রভাতসন্ধ্যা সঙ্গীত বাজিয়েছে। ভানুসিংহ ঠাকুর তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ বনফুল ও বিখ্যাত কাব্য মানসী,ক্ষণিকা,খেয়া,পুনশ্চশেষলেখা তার মেয়ে পুরবী বলাকার নামে উৎসর্গ করেছে।

==> প্রবন্ধঃ প্রাচীন সাহিত্যের পথে স্বদেশের শিক্ষা সমাজ ধর্মসভ্যতার সংকট পঞ্চভূত অছিলো।

==> জীবনকথাঃ আমার ছেলেবেলার জীবনস্মৃতিতে বিদ্যাসাগরবুদ্ধদেবের কথা বিদ্যমান।


** বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৮)

* বঙ্কিমচন্দ্র সম্পাদিত পত্রিকার নাম বঙ্গদর্শন।

==> উপন্যাসঃ কৃষ্ণকান্ত উইলের নায়িকা দুর্গেশনন্দিনী বিষবৃক্ষ দিয়ে গত রজনীতে ইন্দিরা রোডেআনন্দমঠের কপালকুন্ডলামৃণালীকে হত্যা করলো। অন্যদিকে চন্দ্রশেখর রাজসিংহ দেবী চৌধুরী রাণীরাধা রানীর সাথে চুটিয়ে প্রেম করলেও সীতারমাকে বিয়ে করেছে।

==> প্রবন্ধঃ বঙ্গদেশের কৃষক কতৃক বিবিধ সমালোচিত ব্যক্তি কমলাকান্ত লোকরহসা কৃষ্ণচরিত্র হলেও সাম্যধর্মতত্ত্ব অনুশীলন করত।

** ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

* বিদ্যাসাগরই প্রথম বাংলা গদ্যে যতি বা বিরামচিহ্ন স্থাপন করেন।
* তাকে বিদ্যাসগর উপাধি দেয়া হয় সংস্কৃত কলেজ থেকে।
* তিনি বিধিবা বিবাহ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
*  তার রচিত ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম "ব্যাকরণ কৌনুদী"।

==> গ্রন্থঃ বিদ্যাসাগর বেতাল পঞ্চবিংশতি,শকুন্তলা,সীতার বনবাসভ্রান্তিবিলাস নামের গ্রন্থের রচনা করেন।

** জসীমউদ্দিন (১৯০৩-১৯৭৬)

*জসীমউদ্দীন ফরিদপুরের তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন।
*জসীমউদ্দীনের ছদ্দনাম জমীর উদ্দীন মোল্লা।
*তিনি ছাত্র থাকা অবস্থায় তার 'কবর' কবিতাটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমিকের পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
*'কবর' কবিতাটি প্রথম কল্লোল পত্রিকায় ছাপা হয়।
*'কবর' কবিতাটি জসীমউদ্দীনের 'রাখালী' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
*জসীমউদ্দীন ১৯৭৬ সালে একুশে পদক পান।
*জসীমউদ্দীন রচিত নকশী কাথার মাঠ কাব্য গ্রন্থটি ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয়। এর ইংরেজী অনুবাদের নাম "Field of the Embroidery Quilt'. এর অনুবাদকের নাম E M Morford.

==> উপন্যাসঃ বোবা কাহিনী

==> নাটকঃ বেদের মেয়ে,পদ্মাপাড়,মধুমালা,পল্লীবধু,গ্রামের মায়া

==> কাব্যগ্রন্থঃ রঙ্গিলা নায়ের মাঝি হাসু, রুপবতী সখিনারখালীকে নিয়ে বালুচরের ধানক্ষেতের মধ্য দিয়ে সোজন বাদিয়ার ঘাটে গিয়ে এক পয়শার বাশি বাজিয়ে নকশী কাথার মাঠমাটির কান্না দেখলো।

** ফররুখ আহমদ (১৯১৮-১৯৭৪)

*ফররুখ আহমদ যশোরের মাঝয়াইল গ্রামে জন্মগ্রহন করেন।
*তিনি তার শিশুতোষ গ্রন্থ 'পাখির বাসা'র জন্য ১৯৬৬ সালে ইউনেস্ক পুরস্কার লাভ করেন।

==> কাব্যগ্রন্থঃ কবি ফররুখ ঝড়ের কবলে পরে সাত সাগরের মাঝি,হাতেম তাই,সিরাজুম মুনীরানৌফেলকে বিপদের মুহুর্তের কবিতা পড়তে বললেন।

** কায়কোবাদ (১৯৫৭-১৯৫১)

*কায়কোবাদের প্রকৃত নাম কাজেম আল কোরেশী।
*তিনিই প্রথম বাঙ্গালী মুসলমান কবিদের মধ্যে মহাকাব্য রচনা করেন।

==> কাব্যগ্রন্থঃ মহাশ্মশান,অশ্রুমালা,বিরহ বিলাপ,কুসুম কানন,অমিয়ধারা,শিবমন্দির
        শর্টকাটঃ মহাঅশ্রু বিরকুসু অমিশিব

** মাইকেল মধুসূধন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩)

*অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মাইকেল মধুসূধন দত্ত।
*তার প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ "Captive Lady" প্রকাশিত হয় ১৮৪৯ সালে।
*মাইকেল মধুসূধন দত্ত রচিত অমর মহাকাব্য হল মেঘনাদবধ কাব্য।

==> নাটকঃ শর্মিষ্ঠা,পদ্মাবতী,কৃষ্ণকুমারী

==> কাব্যগ্রন্থঃ তিলোত্তমা সম্ভার,বীরাংগনা,ব্রজাংগনা

==> প্রহসনঃ একেই কি বলে সভ্যতাবুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ

** মীর মোশাররফ হোসেন (১৮৪৭-১৯১১)

*মীর মোশাররফ হোসেনের ছদ্দনাম গাজী মিয়া।

*মীর মোশাররফ হোসেন সম্পাদিন পত্রিকার নাম আজিজুন্নাহার হিতকরী

==> নাটকঃ জমীদার দর্পন,বসন্তকুমারী,বেহুলা গীতাভিনয়,টালা অভিনয়,ভাই ভাই এইতো চাই, ফাস কাগজ ...।

==> গদ্য ও অন্যান্য গ্রন্থঃ রত্নবতী,বিষাদসিন্ধু,উদাসীন পথিকের মনের কথা,তহমিনা,রাজিয়া খাতুন,পঞ্চনারী,গোজীবন,গোরাই ব্রিজ,এসলামের জয়

==> উপন্যাসঃ গাজী মিয়ার বস্তানী (আত্নজীবনীমূলক)।

** দ্বীনবন্ধু মিত্র (১৮৩০-১৮৭৩)

==> নাটকঃ নীল দর্পন, নবীন তপস্বীনি, লীলাবতী, জামাই বারিক, কমলে কামিনী

==> কাব্যগ্রন্থঃ সুরধনী কাব্যদ্বাদশ কবিতা

==> প্রহসনঃ বিয়ে পাগলা বুড়ো,সধবার একাদশী

নোটঃ নীল দর্পন নাটকটি ইংরেজীতে অনুবাদ করেন মাইকেল মধুসূধন দত্ত। এ নাটকটি প্রথম ঢাকায় মঞ্চস্থ হয়।

** আলাওল  (১৬০৬-১৬৮০)

==> কাব্যগ্রন্থঃ আলাওল পদ্মাবতী,তোহফাকাশিমের লড়াই দেখে হপ্তপয়কর,সিকান্দারনামা,রাগতালনামাসয়ফলমূলক বদিউজ্জামান গ্রন্থটি রচনা করেন।

** আব্দুল হাকিম (১৬২০-১৬৯০)

==> কাব্যগ্রন্থঃ আব্দুল হাকিম ইউসুফ জোলেখা,নূরনামাহানিফার লড়াই দেখে দুরের মজলিশে লালমোতি সয়পফুলমূলক কাব্যটি রচনা করেন।

** দৌলত কাজী (১৬০০-১৬৩৮)

==> কাব্যগ্রন্থঃ মধ্যযুগের বিশিষ্ট কবি দৌলত কাজী বাংলা ও ব্রজবুলী ভাষার সংমিশ্রণে "সতী ময়না লোর চন্দ্রানী" নামক কাব্যটি রচনা করেন।

** ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯)

==> গ্রন্থঃ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলা সাহিত্যের কথা,ভাষা ও সাহিত্য,বাংলা ব্যাকরন বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত গ্রন্থগুলো রচনা করেন।

** শওকত ওসমান (১৯১৭-১৯৯৮)

==> শওকত ওসমান তার মা জননীকৃতদাসের হাসির জন্য চৌরসন্ধির সমাগমরাজা উপাখ্যানকে প্রত্যাখ্যান করে পুরাতন খঞ্জর,রাজশাক্ষীদুই সৈনিককে নিয়ে নেকড়ে অরণ্যে প্রবেশ করে পতঙ্গ পিঞ্জরজলাংগীকে জাহান্নাম হইতে বিদায় করিলেন।

** বেগম রোকেয়া (১৮৮০-১৯৩২)

==> উপন্যাসঃ পদ্মরাগ

==> গ্রন্থসমূহঃ সুলতানার স্বপ্ন ছিলো ডিলিসিয়াদের মত অবরোধবাসীনিদের মুক্ত করে তাদের হাতে পদ্মরাগমতিচূর ফুল তুলে দিবেন।


**সুফিয়া কামাল (১৯১১-১৯৯৯)

==> কাব্যগ্রন্থঃ সাঝের মায়ামায়া কাজল তারা দুই বোন উদাত্ত পৃথিবীমৃত্তিকার ঘ্রাণের জন্য মন ও জীবন সপে দিয়ে অভিযাত্রিক হয়েছিলো।

==> স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থঃ একাত্তরের ডাইরী


** সৈয়দ আলী আহসান 

==> কাব্যগ্রন্থঃ আমার প্রতিদিনের শব্দ শোনার জন্য ও অনেক আকাশকক সন্ধ্যায় বসন্ত দেখার জন্য সহসা সচকিত হয়ে সমুদ্রেই যাবো


** শামসুর রহমান (১৯২৯-২০০৬)

==> কাব্যগ্রন্থঃ রৌদ্র করোটিতে বিধ্বস্ত নীলিমায় দুঃসময়ের মুখোমুখি হয়ে উদ্ভট উটের পিটে চলছে স্বদেশআমি অনাহারী বন্দী শিবির থেকে বলছি, ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাটা নিজ বাসভূমে। কবির প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে রচিত কেননা একফোটা কেমন অনলে বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়


** সুকান্ত ভট্টাচার্য (১৯২৬-১৯৪৭)

==> কাব্যগ্রন্থঃ মিঠে কড়াই হরতাল এবং সেনা অভিযানেপূর্বাভাসে সুকান্তের ঘুম নেই।

** জীবনানন্দ দাস (১৮৯৯-১৯৫৪)

==> কাব্যঃ ধূসর পাণ্ডুলিপি,বনলতা সেন,রূপসী বাংলা,ঝরা পালক,বেলা অবেলা কালবেলা

** আখতারুজ্জামান ইলিয়াছ (১৯৪৩-১৯৯৭)

==> উপন্যাসঃ চিলেকোটার সেপাইদের খোয়াবনামা দেখতে নাই।

==> গল্পসমূহঃ অন্য ঘরে অন্য স্বর, খোয়ারি দুধে ভাতে উৎপাত,দোজখের ওম,জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল








1 comment:

Powered by Blogger.